প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এম শামছুদ্দিন: দেশ নিয়ে গর্বিত

প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এম শামছুদ্দিন: দেশ নিয়ে গর্বিত

মো. ফয়ছল আলম:
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসে জনমত গঠন করেছেন। নিজের গাড়ি দিয়ে স্বাধীনতার পক্ষে প্রচার চালিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তহবিল হাফিজ মজির উদ্দিনসহ যারা করেছেন তাদের নিত্যসঙ্গী ছিলেন এম সামছুদ্দিন।
যে শামছুদ্দিনের কথা বলছিলাম তিনি আর কেউ নন-দেশ ও প্রবাসের মাটিতে ব্যাপক পরিচিত সমাজসেবী ফ্রেন্ডস অব হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল সিলেট এর ইউকে এডভাইজারী কমিটির চেয়ারম্যান। যুক্তরাজ্যস্থ ঢাকাদক্ষিন উন্নয়ন সংস্থার সদস্য তিনি। ঢাকাদক্ষিণ ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ।টাকালীন সময়ে তিনিসহ কয়েকজন ছিলেন তহবিল সংগ্রহের কাজে। এজন্য এলাকায় স্মরণীয় হয়ে আছে তাদের অবদান। যুক্তরাজ্যের এসেক্স জামে মসজিদের প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান তিনি। গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ও গোলাপগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্টের সদস্য তিনি। তিনি এসেক্স বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের প্রতিষ্টাতা ভাইস প্রেসিডেন্ট ।বাড়ী  গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিন ইউনিয়নের নগর গ্রামে। ঢাকাদক্ষিণ বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয় স্কুল ও কলেজ এরামনাই এসোাসিয়েশনের সদস্য। ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী আর ২ ছেলে মেয়েকে নিয়ে। তার সংসার পরিবারে থাকেন যুক্তরাজ্যে। সেখানে একজন সুপরিচিত ব্যবসায়ী হিসেবে তার সুনাম রয়েছে
১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এম শামছুদ্দিন  এ প্রতিবেদককে বলেন, ১৯৬৩ সালে তিনি লন্ডন যান।সে সময় তার মামা হাজী মজম্মিল আলী ্অলী সুন্দাই মিয়া ছিলেন ভিক্টোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী শিমলা রেস্টুরেন্টের মালিক। যে কারণে সেখানে যাবার পর প্রতিষ্টা পেতে তেমন বেগ পেতে হয়নি। এর কয়েকবছর পরই বাংলাদেশে যুদ্ধের ডামাডোল শুরু হয়। সে সময় আবু সায়্যিদ চৌধুরীর চৌধুরীর নেতৃত্বে যে স্টিয়ারিং কমিটি বাংলাদেশের পক্ষে জনমত গঠনের কাজ শুরু করে তখন তাদের সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছিলো আমার। সে সময় হাফিজ মজির উদ্দিন, সিরাজ উদ্দিন, শামছুর রহমান, মিম্বর আলীদের পরিশ্রমের কথা আজও আমার মনে পড়ে। আমার গাড়ি নিয়ে নেতাদের বিভিন্নস্থানে নিয়ে গেছি। কাজ করেছি দেশের জন্য। সে সময় আমসার চাচাতো ভাই আদুল মুয়িদ ফটিক মিয়াসহ দেশে থাকা আমার পরিবারের লোকজন মুক্তিবাহিনীর সেবায় কাজ করেন। আমাদের বাড়ি ছলেঅ মুক্তি বাহিনীর আশ্রয়ের অন্যতম এক জায়গা। আজ দেশ অনেক এগিয়েছে। যে পাকিস্তানীরা আমাদেরকে বাংলাদেশের পক্ষে প্রচারণায় বাধা দিত তারাও স্বীকার করছে বাংলাদেশ এগিয়েছে। এজন্য আমি গর্বিত।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল সিলেট এর উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছেন সমাজসেবী এম শামছুদ্দিন। বর্তমানে । তিনি এ হাসপাতালের যুক্তরাজ্যের এডভাইজারী কমিটির চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন। তিনি বলেন, ২০০৭ সাল থেকে তিনি কমিটিতে কাজ করেছেন। তিনি বলেন হাসপাতালের ৭ম তলাও প্রবাসীদের অর্থায়নে হয়েছে। বিশেষ করে আহমদ উস সামাদ চৌধূরী,মনসুর খান মিসবাহ জামালের কথা স্মরণ করেন তিনি। তাদের উৎসাহেই তিনি এ কাজে সম্পৃক্ত হয়েছেন। যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা এ হাসপাতালের উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন। এজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
সমাজসেবা তাদের পারিবারিক শিক্ষা উল্লেখ করে বলেন, ইদানিং আমরা আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে ঢাকাদক্ষিন ভুমি অফিস, পল্লী বিদ্যুত সমিতির অফিসের জন্য জমি দান করেছি। আমার ভাই চেরাগ উদ্দিন মানিক মিয়া এলাকায় একটি মসজিদ নির্মাণ করে দিয়েছেন। আল্লাহ যা তৌফিক দিয়েছেন সাধ্যমতো চেষ্টা করছি সমাজের জন্য কিছু কাজ করার। যতদিন আছি সমাজের জন্য কাজ করে যাবোলেখক: মো. ফয়ছল আলম, নির্বাহী সম্পাদক, দৈনিক জৈন্তা বার্তা