ইউটৌপিয়া
শ্যামল ব্যানার্জী
বৈকালিক ঝোরো হাওয়ায় একদিন
তোমার উড়ো চিঠি
ভাঙা মিছিলে অবেলার প্রাপ্তি যেন,
শ্লোগানের ভীড়ে।
অপ্রাপ্তির যত সর্বনাশা আগুন পুড়িয়েছে আমায়,
তার চেয়ে বেশি জ্বলেছো তুমি ইউটৌপিয়ায়।
সেদিন যারা ছিলো সাথী
সাফল্যের সিড়ির ধাপে,
মিছিলের অগ্রভাগে,
জড়িয়ে ছিলো যত সুখানুভূতির শৈশব নিয়ে,
নামে বেনামে যত অংশীদার,
সময়ের কালে জরাজীর্ণ বসতি করে
তারা -
আজ নিলাম হেঁকেছে এক ব্যার্থ সমীকরণে।
ক্রমশ উজানে নদীর শুকনো চর,
ছেড়ে গেছে সব বসতির ঘর,
মানবিক মৃত্যুর পর থাকেনা কেউ
বড় একা হতে হয়... বড় একা হতে হয়।
তেমনই, একদিন আসে , ব্যর্থ জীবনের পাশে,
নির্ঘুম চোখ জাগে শুধু,
মৃত্যু সেতো রোজই হয় ঘুমের ভেতর।
যখন ছিলো যারা একদিন থাকেনা তারা কেউ,
ভ্যানভ্যানে মাছি শুধু মুখের ওপর।
তার চেয়ে চলো যাই, একটু শান্তির ঘুম দেই
নির্বিকার.. নির্লিপ্ত জীবনের,
তুমি এসো.. থাকো এমন নির্লিপ্ত জীবন নিয়ে,
আমি আমার সমস্ত স্বত্ব ত্যাগ করে
নির্বাসনে যাই।
তবে, শেষের বেলায় যদি পারো সূর্যকে পশ্চিমে নিয়ে যাও,
রাতের অন্ধকারে ভেঙেচুড়ে খোল নলচে পাল্টে দাও।
একটা বিপ্লব উপহার দিও সাধারণ মানুষের কাছে।