চঞ্চলা চৈতী
দোদুল পার্থ
একদিন ফুটেছিল বুনো ভাঁটফুল
চৈতী হাওয়ায় মিশে উদাসী দুপুর ।
কিশোরীর বেণীদোলা অবুঝ বেলা
নন্দিত প্রহর যেন উর্বশী নূপুর ।
আধোলাজে ফিরে চাওয়া চন্দ্রকিশোর,
মিটিমিটি আঁখিদ্বয় বিমূঢ় ব্যাকুল ।
উথাল পাথাল করে হৃদয় মাঝে
কে যেন ছড়ায়ে পিছে সুরভী মৃদুল ।
মনের আগল ভেঙে প্রণয় ভানু
উঁকি দেয় দূরবনে তৃষিত চোখে।
বাতাসে উড়িয়ে ডানা তিতিরপাখি
কিছু কথা বলে যায় হাসিমুখে ।
সবুজ পাতার ফাঁকে গুনগুন সুরে
থেকেথেকে নেচে যায় ষোড়শী বাতাস।
দুরুদুরু কাঁপে বুক আকুল সমীরণ
লাজ বরণে সেজে মুগ্ধ আকাশ ।
আনচান করে মন কোন আবেশে
অচেনা আনন্দে নাচে অবোধ ক্ষণে।
মদির ভ্রমর আজি মধু পিয়াসে
ফুটে আছে ভাঁটফুল সবুজ বনে ।
চঞ্চলা চৈতীর হাসিমাখা গাল
মুগ্ধ নয়নে দেখে চন্দ্রকিশোর ।
ব্যাকুল হৃদয় ভরা প্রেমের সুধা
প্রণয়ী সুবাস পেতে তৃষিত বিভোর।