জয়িতা চট্টোপাধ্যায় এর এক গুচ্ছ কবিতা

জয়িতা চট্টোপাধ্যায় এর এক গুচ্ছ কবিতা

প্রতারক 

জয়িতা চট্টোপাধ্যায়
অন্ধকার লেপা চুপ উঠোনে দাঁড়িয়ে থাকি অপরূপ ভোরের অপেক্ষায়
কৃপণ বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখি ক্ররতা রণহিংসা
আমার চারিধারে জ্বলতে থাকে রুক্ষ মরু
মগজের ভেতর বুলেটের বিস্ফোরণ
বুকের ভেতর শুশুনিয়া পাহাড়
আমি যেন ছদ্মবেশ ধরে 
হাতড়ে বেড়াচ্ছি একটা সরোবর
রাতে শিশির ঝরছে তবু বুকের তটে ঝরে তপ্ত বালি
নিথর দীঘির পারে বসে থাকে একটা শরীর
আমাকে যেন তুমি ছাড়া আর কেউ দেখতে পায়না
হাতের আঙ্গুল গুলো নিঃসার
যেন ওরা দারুণ শীতে মৃত
মন্থর বিকেলে দাঁড়িয়ে থাকে সেই চোখ
হে স্মৃতি তুমি কেন এতো প্রতারক ?
জখম
জয়িতা চট্টোপাধ্যায়
রাখবে না মনে কেউ এই সব ছোটোখাটো শোক
জলের ওপর জল ভেঙ্গে পরবে তটে
ঋদ্ধ করবে আমায়
তোমার জলে ভরা চোখ
কবিতার উৎসবে শহর কাঁপাবো আমি
তোমারও রাত্রি যায়নি বিফলে
সে বৈভবও আমি জানি
বৃষ্টি এলো বৃষ্টি পরার মতন
সত্যিই কি ভেবেছি মৃত্যুশোক ঢেকে দেবে জখম।।
তুমি আসবে তো ? 
জয়িতা চট্টোপাধ্যায়
ধরো আমি রৌদ্র পোড়া বা জ্যোৎস্নায় মোড়া দুর্দান্ত এক পাহাড়ি নদী
বা বুক কাঁপানো ঘুম তাড়ানো নম্র কোনো ছিমছাম স্টেশন
ধরো কোনো তীব্রতম খাঁ খাঁ একটা পাথুরে প্ল্যাটফর্ম
মানুষ নামের অসংখ্য মানুষ আসে নামে হেঁটে চলে
ধরো আমি বিশাল নামের আদিম পাহাড়
বা কোনো চাপ চাপ বিশৃঙ্খল অরণ্য
তুমি আসবে তো??
স্মৃতি শেষ
জয়িতা চট্টোপাধ্যায়
আজ আমি দৃষ্টিহীন
যে স্বপ্ন গুলো মিথ্যে ছিল তারা আজ খবরে রঙিন
ভয়ানক রোগের মতো আগলে রেখেছি দাগী ক্ষত
দীক্ষায় বুঝিনি আমি বুঝিনি দুঃখ রেশ
আপাদমস্তক মিথ্যে ছিল
ছিল কঠিন ছদ্মবেশ।।