দুইদিন বিরতির পর ফের আন্দোলনে চা শ্রমিকরা

দুইদিন বিরতির পর ফের আন্দোলনে চা শ্রমিকরা

বাংলাভাষী ডেস্কঃঃ

দুইদিন বিরতির পর ফের আন্দোলনে নেমেছে দেশের ১৬৬টি চা বাগানের শ্রমিকরা। দৈনিক মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন চা শ্রমিকরা। দেশের অন্যান্য চা বাগানের মতো সকাল থেকে সিলেট জেলায় ২৩টি, মৌলভীবাজারে ৯২ ও হবিগঞ্জে ২৪টি চা বাগানে শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি।

রোববার সাপ্তাহিক ছুটি এবং সোমবার জাতীয় শোক দিবস হওয়ায় এই দুদিন বন্ধ ছিল চা শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট।

এদিকে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সারা দেশের চা বাগানে শ্রমিক ধর্মঘটের ফলে সৃষ্ট সংকট নিরসনে আজ মঙ্গলবার দুপুরে বৈঠকে বসছেন বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় শ্রম দপ্তর শ্রীমঙ্গলের উপ পরিচালক মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, দুপুরে বাংলাদেশ শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী শ্রমিক ও মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন। তিনি প্রথমে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বসবেন। পরে তাদের দাবি-দাওয়ার বিষয় নিয়ে বাগান মালিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।

এদিকে ধর্মঘটের কারণে মালিক-শ্রমিক দুপক্ষের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। তবে উভয়পক্ষকে মহাপরিচালকের সঙ্গে বসার জন্য বলা হয়েছে। তারাও আসতে সম্মতি জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, আমরা ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে সেখানে যাব। আমাদের শ্রমিকরা কী কঠিন অবস্থায় আছে, সেটি সরকার ও মালিকপক্ষকে অবশ্যই দেখতে হবে।

বাংলাদেশ চা সংসদের সিলেট বিভাগের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ শিবলী বলেন, ‘মজুরি বাড়ানো নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের আলোচনা চলছিল। আলোচনা চলাকালে এভাবে কাজ বন্ধ করে আন্দোলন করা বেআইনি। এখন চা বাগানে ভরা মৌসুম। কাজ বন্ধ রাখলে সবার ক্ষতি। শ্রমিকরাও এই মৌসুমে কাজ করে বাড়তি টাকা পায়।'

শ্রমিকদের সঙ্গে সমঝোতার প্রসঙ্গে গোলাম মোহাম্মদ শিবলী বলেন, ‘আমরা সরকারকে অনুরোধ করেছি যাতে শ্রমিকদের কাজে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়।’

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার থেকে চা বাগানের শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে ৪ দিন দুইঘণ্টা করে কর্মবিরতি ও গত শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে নামে চা শ্রমিকরা। শোক দিবস উপলক্ষে রবি ও সোমবার কর্মসূচি  স্থগিত রাখা হয়। আজ সকাল থেকে পুনরায় কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। দাবি আদায়ে তারা বাগান ছেড়ে রাজপথে নেমে আসে। এতে বাগানের উৎপাদনের ফ্যাক্টরির চাকা বন্ধ হয়ে যায়।