বাজেয়াপ্ত সুখ
আজমেরী
একদিন ভালোবাসার নামে ফুটেছিল একটি নীল পদ্ম
তার সমবেত পাপড়িতে জমেছিল কিছু মায়ার ঘ্রাণ...!
তার উপমায় জন্মেছিল বাসনার স্বপ্নিল প্রচ্ছদ...
ফাগুনের সব নদী...সম্মিলিত সমুদ্র বিলাসের তৃষ্ণা... উড়ন্ত হাওয়ায় মিথুনরত কপোতের কানামাছি সুখ...।
একদিন জোছনার জঠরে চুমু খেয়ে ভালোবাসা হতে চেয়েছিল আদিম বিলাসিতা...
চড়ুই দম্পতির একান্ত চিলেকোঠা।
একদিন ভালোবাসার নামে উড়ে এসেছিল কিছু বিপ্রতীপ সুখ...!
পরীদের ডানাছোঁয়া কিছু বসন্ত রাত...
আর পরিযায়ী পাখিদের ডানা থেকে খসে পড়া কিছু সোনালী তুলোর মত নরম রোদ...
জন্মের পূর্ণচ্ছেদে চুমু দিয়ে একদিন ভালোবাসা হতে চেয়েছিল প্রিয় সম্মোধন...!
একটি নক্ষত্রের বোতাম...অন্তর্বাসের ঠিক মধ্যখানটায়
আর নিঃশব্দ কিছু শব্দময়তার উষ্ণ আলিঙ্গন।
একদিন ভালোবাসা -আদরের মৃদু আঙ্গুল বোলায়ে বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছিল একান্ত নিজেস্বতা... সুক্ষ্ম অনুভূতি আর তীব্র বোধ...
ফলে ভালোবাসা পেয়েছিল কিছু উন্মত্ত বাৎস্যায়ন...।
জীবনের প্রথম ও শেষ কবিতার মতোই কিছু অপাংক্তেয় শব্দরা এসে জুটেছিল তার নিরাসক্ত অধরে
নৈঃশব্দ্য চমকে গিয়েছিল আকষ্মাৎ তাদের সে মিশ্র কলস্বরে
একদিন ভালোবাসার হাতে আমি তুলে দিয়েছিলাম এক প্রত্নহৃদয়...
ভালোবাসা আমাকে শুধুই দিয়েছিল টুকরো-টুকরো কিছু বাজেয়াপ্ত সুখ...!