বরকত ময় রমজানের সুভাস ছড়াতে মাহে শাবানের যাত্রা শুরু

বরকত ময় রমজানের সুভাস ছড়াতে মাহে শাবানের যাত্রা শুরু

"জাকির আতা

৪ ঠা মার্চ শুক্রবার সৌদী আরব, ইংল্যান্ড সহ পশ্চিমা দেশে ছিল শাবান ১৪৪৩ হিজরী সনের ১লা তারিখ। আর বাংলাদেশ তথা ভারত উপমহাদেশসহ পর্বাঞ্চলে শনিবার হল শাবানের ১ম দিন। নতুন চাদঁ দেখলে নিচের দোয়া পড়া সুন্নত। 

اَللهُ اَكْبَرُ اَللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَ الْاِيْمَانِ وَالسَّلَامَةِ وَ الْاِسْلَامِ وَ التَّوْفِيْقِ لِمَا تُحِبُّ وَ تَرْضَى رَبُّنَا وَ رَبُّكَ الله

অর্থ : আল্লাহ মহান, হে আল্লাহ! এ নতুন চাঁদকে আমাদের নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদয় কর। আর তুমি যা ভালোবাস এবং যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও, সেটাই আমাদের তাওফিক দাও। আল্লাহ তোমাদের এবং আমাদের প্রতিপালক।’ (তিরমিজি, মিশকাত)।

ইসলামী জীবন বিধানের অন্যতম রুকন হল রমজান মাসে সিয়াম পালন। আমরা দেখি যে কোন গুরুত্বপৃর্ণ কাজ আঞ্জাম দেয়ার আগে অনেক অনুশীলন করা হয়। রমজানের সিয়াম হল মুসলিম উম্মাহর অন্যতম ফরজ ইবাদাত। তাই রমজান মাসের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে শাবান মাসের তারিখের হিসাব রাখা বিশেষ জরুরি একটি সুন্নাত আমল। হাদিস শরিফে নবীজী সা: বলেন, ‘তোমরা রমজানের জন্য শাবানের চাঁদের হিসাব রাখো।’ (সিলসিলাতুস সহিহাহ, আলবানি, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-১০৩) এ অতীব গুরুত্বপূর্ণ কাজ আঞ্জাম দেয়ার জন্য সাইয়্যেদুল মুরসালীন মুহাম্মাদুর রাসূল (সাঃ) এ মাসে সবচেয়ে বেশী সিয়াম পালন করতেন। আম্মাজান হজরত আয়েশা (রা.) শাবান মাসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আমল সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমি তাঁকে (রাসুলুল্লাহ) শাবান মাসের মতো এতো বেশি রোজা রাখতে অন্য কোনো মাসে দেখিনি।’

হজরত আয়শা (রা.) বলেন, আমি রাসূল (সা.) কে প্রশ্ন করি যে, শাবান মাস ব্যতীত অন্য কোনো মাসে আপনাকে এত বেশি রোজা রাখতে দেখি না কেন? রাসূল (সা.) বলেন, রমজান ও রজবের মাঝের মাস হচ্ছে শাবান। এ মাসের বরকত সম্পর্কে লোকেরা উদাসীন। এ মাসে আল্লাহ তায়ালার সামনে বান্দার সারা বছরের আমল পেশ করা হয়। আমার আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে, আমার আমলনামা ওই অবস্থায় পেশ করা হোক, যখন আমি রোজাদার। (নাসায়ী, আবু দাউদ) মুহাদ্দিসগণের বড় একটি সংখ্যা এ হাদিস গ্রহণযোগ্য হওয়ার ব্যাপারে মত দিয়েছেন। এছাড়া মুসলিম স্বাতন্ত্র্য ও ইসলামী ঐক্যর প্রতীক মুসলমানদের কিবলা বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে কাবা শরীফ করা হয় এই শাবান মাসে। তাই কাবাকেন্দ্রিক মুসলিম জাতীয়তা ও ভ্রাতৃত্ববোধে উজ্জীবিত হওয়ার প্রেরণার মাস হল এই শাবান। এ মাস বার্তা দিচ্ছে যে আমার পরেই তোমাদের উপর ছায়া বিস্তার করবে এমন একটি মাস, যা শাহরূন আজীম, শাহরূন মুবারক। 

اَللَّهُمَّ بَلِّغْنَا رَمْضَان وَبَارِكْ لَنَا فِيْهِ وَأعِنَا عَلَى صِيَامِهِ وَقِيَامِهِ

অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন এবং রমজানে (দিনের বেলায়) রোজা পালন এবং (রাতের জেগে) নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন।’