রসু বুড়োর ঘড়ি—
আব্দুছ ছালাম চৌধুরী
ঘড়ির কাঁটার টিকটিক শব্দ—রাতের কষ্টকে আরও যেনো উছলে দেয়।
তবে সমীহ করে ভোরের শবনম।
না চাইতেই পথিকের পায়ে লেপ্টে থাকে ফাল্গুনের ধুলাবালি।।
হাত ঘড়িটা তখনও বুক পকেটে ;
কুশিয়ারা নদীর জল ছুঁয়ে আসা হিমেল হাওয়ার সাথে ধোঁয়া ধোঁয়া আমার নিঃসৃত নিঃশ্বাস।।
সমস্ত ব্যথা নিরাময় করতে ছুটে যাই রিণু-রেখাদের বাড়ি-
না শুনি চার কথা; চা তো বসাতে মাঝবে হাঁড়ি।।
এইতো; দুই ঘাট পরেই;
বড় বড় দুটো শিমুল গাছ; যেথায় লাল ফুল ফুটেছে
সারস পাখির কিচিরমিচির আর রসু বুড়োর হাঁক ডাকে—কতো পড়শীর ঘুম ভেঙেছে।।
যেনো মুখ কাঁটা; মানুষ গুলো তারই পড়শী—
সম্মুখেই বলে দেয়; পর-পর-পর-দাদা— তোমার
অন্তিম ঘড়ি কবে আসবে?
রসুবুড়ো চোখ মুছতে মুছতে বলে—সে ঘড়ি তোমার ও আসবে——
অতঃপর নিজে বুকে হাত দিয়ে, ভাবে ---- সত্যিই-তো।
কষ্ট কি কেবল আমার; রসু বুড়োর আছে।
ছবি সংগ্রহ