স্পন্দন
সঞ্জয় কুমার কর্মকার
আলোকবর্ষ দূরে কতোই যে তুষ্টি,গাঢ় মেঘের আস্তরণে ছায়াপথ ছাড়িয়ে সূর্যাস্তের অনড় আড়ম্বর।
রক্তবর্ণের মতোন এই দিন এই নির্জন বেলায় অপেক্ষার অভিমুখে ধৈর্যের প্রশস্ত পথে হেসে খেলেই যেনো কেটে যায় নীরবতার যন্ত্রণাগুলো।
অস্থির চোখের শিথিল দৃঢ়তা গুলো পাতার পলকেই ব্যাকুলতার বাঁধন ভেঙে হৃদয় জুড়ে যেনো স্বর্গে বিরাজ করে গেলো।
ভরা সাঁজের গোধূলি বেলায় প্রার্থনার অতিরঞ্জিত স্বপ্নগুলো এ পথ থেকে সরে বিষম আঁধারের বিড়ম্বনায বিশীর্ণ অধরের নিরবেই প্রকাশ করে যায়।
দুর্ধর্ষ স্রোতের বেগে দীর্ঘশ্বাসের প্রতিটা নিঃশ্বাসের অনলে অভাগা শীর্ণ নদীর অশ্রু বেয়ে মাটির শিকড়ে আলিঙ্গন করে যায়।
বিচ্ছিন্ন আকাঙ্ক্ষার ধৈর্যগুলো মনযোগে নির্জন ক্রোধের সাথে অন্তঃকরণ জুড়ে প্রাণাধিক কাঁপনে নিরন্তর নিস্তব্ধই রয়ে গেলো।
পৃথিবীর হুলুস্থুলে আলগা মাটি ছেড়ে মুঠো বাতাস ঝড়িয়ে চির স্বপ্নের মতোন বঞ্চনার সংশয়ে প্রিয় প্রাণের কৃষ্ণচূড়াগুলো ও এক নিমেষেই ঝড়েই পড়ে।
আবছা আবছা আলোর শিখায় সলতের ধোঁয়া মুছে ফোঁটা সূর্যের অস্ত চলে গেলো,ভাঙা আকাশের মায়ার ছলে পুষ্পরা অবিরল শব্দে বেয়ে প্রাণের স্পন্দন জাগিয়ে দিয়ে তোলে।.
দ্রিমি-দ্রিমি শব্দের টানে শায়িত ক্লান্তির ঘ্রাণে দৃশ্যের মতোন চিরায়ত বিষম গোধূলির সূর্যটা বিদায় দিয়ে গেলো।
নির্লজ্জ্ব প্রবঞ্চনায় কতোই অস্থিরতা, অবর্ণনীয় দুঃখ দুর্দশার অন্ধমোহে তীব্র আলোর মতোন তপ্ত হয়ে উঠি।
এই দেশ, এই মন্থর প্রকাশ জীবনের প্রতিটা মূহুর্তে বিচিত্র লীলায় স্বাতন্ত্র্যকে পুষ্ট করে যায়।
বিস্মিত চোখে অঝোর বর্ষণ, সুদৃষ্টির নজরে ক্লান্ত হয়ে দেখি রন্ধ্রে রন্ধ্রে জড়িয়ে আছে আদর্শের অবক্ষয়, সম্পূর্ণ নিস্পন্দ সমাজ উৎকণ্ঠায় নির্বাক হয়েই থাকে।।