প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল যে হাত

প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল যে হাত

নর্মদা চৌধুরী তুলিকা

হাতে হাত রেখে আগামীর পথ চলা হয়নি যে প্রেয়সীর ....

জীবনের রনাঙ্গনে সেও তোমার পায়ে পায়ে এগিয়ে চলেছে যুগ থেকে যুগান্তরে।

প্রেমিকার মতো হয়ে ওঠা হয়নি যার কোনদিন সেও রনাঙ্গনে একাকী যুদ্ধরত নিরস্ত্র দুইহাতে।

শত্রুপক্ষের ক্রুর হাসি উপেক্ষা করে,

তার ঠোঁটে তখন জয়ের হাসি।

জয়ী সে আজ নিজের কাছে,

সব প্রাপ্তিকে অবলীলায় উপেক্ষা করে সে দুই হাত ভরে নিয়েছে শুধুই অবহেলা আর অবজ্ঞার আবরনে।

সমস্ত সংসার যখন ঘুরছে বন বন করে...

সে তখন‌ও স্থির দৃষ্টিতে রোদ্দুরের খেলায় মত্ত।

মৃত্যু ছুঁয়ে চলেছে তার ওষ্ঠ,

চিবুক-চিবুক বেয়ে বক্ষ বিদীর্ণ করে পদতলে।

নতমস্তকে সেও যেন আবাহন করছে

আর একটা নবজন্মের। 

মৃত্যুর আবাহন জন্মের পদতলে।

দৃষ্টিতে ভেসে চলেছে আস্ত একটা কাল্পনিক সংসার,

বাস্তবের মাটি ছুঁয়ে সত্য তার অজান্তেই হয়ে উঠেছে কল্পনা,

মিথ্যার প্রলেপে সে তখন তপস্যায় মগ্ন একটা স্নিগ্ধ সকালের।

প্রতাড়িত চোখে যে ছেলেটি পারেনি

প্রকৃত প্রেমিক হতে !

সেও কোন এক রাতে বালিশ ভিজিয়েছে তীব্র একাকীত্বে,

হাজার ভীড়ে নিঃসঙ্গ হৃদয় তার বিশ্বস্ত হাতের খোঁজে পেয়েছে চরিত্রহীন খেতাব।

যা হয়তো তাকেই মানায়,

তাই বিনা প্রতিবাদে লাল গোলাপ হাতে অপেক্ষায় আছে সেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রেমিকার জন্য !

যুদ্ধটা তাদের হৃদয় জয়ের কাহিনী লিখবে না কখনো,

লিখবে পরাজিত হৃদয়ের,

প্রতাড়িত সম্পর্কের;

বিশ্বাস তখনো রয়ে যাবে চিরন্তন হয়ে।