হাতটা ধরলে ধরো
হাসান ফরিদ
এতো ভেবো না তো! হাতটা ধরলে ধরো!
কোনো করুণা করে নয়; ভালোবেসে ধরো।
মনে কোরো না অবেলা গোধূলি বলে—
সামনে শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার!
আলোর যাত্রী হয়ে আসো; চাঁদের খেয়াটা একটু একটু করে ভাসাও
মন পবনের বৈঠাটা শক্ত করে চালাও
আমিও তো সাথেই আছি....এত দোলাচল কেন করো!
আমার এ-ই বাঁ হাত শ্রমিক মজুরের হাত;
হাতুড়ি-কাস্তে আর লাল পতাকা ধরা কৃষকের হাত;
এ-ই হাতেই হয়েছিল লাল সূর্যখচিত সৌম্য প্রভাত—
একদিন স্বপ্নরা বুক চিতিয়ে হাঁটতো এ-ই সাম্যের পথে-ঘাটে; লেলিন আর মার্ক্সের মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে মিছিলে মিছিলে গাইত জীবনের গান হাটে–মাঠে;
সোনালি যৌবনের রুপালি তলোয়ার ধার, পাথুরে পাথর সেই পারাবত হওয়া পার,
হাতে হাতে সমাজ বদলের হাতিয়ার;
সুকঠিন শপথ হৃদয়ে ধারণ করে
এইতো সেদিনও ছিলাম রাজপথে....
সোনালি দিন রঙিন পোস্টারে ছাপানো ছিল
লাল নীল সাদা হরফে সমুদ্র সফেন আগামীকাল আঁকা ছিল;
হৃদয় উনুনে ফুটতো কবিতার আরক; আরো কত কি...
রূপালি নক্ষত্রের পেয়ালায় সেসব সুবার্তার চা ঢেলে খেয়ে
চলো আবার চাঙ্গা হয়ে উঠি;
সত্য আর সুন্দরের, প্রগতির হাতিয়ার ধরে এগিয়ে চলি নিপীড়িত মানুষের কথা বলি
শান্তির পৃথিবী বিনির্মাণে সমুন্নত রাখি মুষ্টি মুঠি...
হাতটা ধরলে ধরো; এখনি সময় সূর্য ওঠার, কৃষ্ণচূড়ার পথে ছোটার—উঠে পড়ো প্রিয়তমো...শক্ত করে বাঁ হাতটা
ধরো...