আক্ষেপের কাল

আক্ষেপের কাল

সুরাইয়া

আমার হৃদয় সীমার ওপাড়ে সব সুখ নিয়ে গেছে কালের উড়ন্ত পাখি, শুধু ফেলে গেছে বিরহের পালক।

খুব কী সুখ চেয়েছিলাম! 

সংসারের ক্লান্তিময় অন্ধকার 

আর যাপিত জীবনে, সুখ পাবো না দুঃখ পাবো, এ বিরোধীতায় নিমগ্ন মন অসীম ভাবনায় যখন ডানা মেলতো,

ব্যস্ততার শতেক অজুহাতে নির্বিঘ্নে মনটাকে গুটিয়ে নিতাম।

তারপর,....বেহিসাবি দিন যাপন আর অভ্যেস মতো সংসার সীমান্তে ডুবে থাকা।

শরীরে ধারণ করি দীর্ঘ কাল ক্ষেপনের চিহ্ন, স্বাভাবিকতায় তার আগমন,

যেমন কুশি পাতা ক্রমান্বয়ে হলুদাভ বর্ণ।

তারও গভীরে লালন করি,

একদিন নিশ্চিত বিদায়ের প্রচ্ছন্ন আভাস।

কচি দূর্বাঘাস যেমন সোনালী রোদ মেখে উজ্জ্বল, 

কৈশোর, যৌবনে তেমন বসন্তের সহস্র মুগ্ধ রেণু এসে পড়ে শরীরে। 

অদৃশ্য দুরন্ত ঘড়ির কাঁটায় এগিয়ে চলে জীবনের দিনলিপি। 

সময়ের পালক ধীরে ধীরে বিবর্ণতার প্রলেপ এঁকে চলে শরীরের ভাঁজে ভাঁজে, হৃদয়ে,

তারপর, উপসংহারের খোঁজে। 

সময়ের এই রূঢ় নিয়মের কাছে তুমি, আমি, আমরা সবাই নতজানু। 

কোন অদম্য ইচ্ছেয় যদি খোঁজ অমরত্ব, দেখবে সে ইচ্ছেতেও আসবে ক্লান্তির ঢেউ, 

একসময় আত্মা মুক্তি চায়,

নিঃশব্দে করে চিৎকার, "কবে মুক্তি হে যাপিত জীবন !