আমি
মাশূক ইবনে আনিস
উলুকধ্বনিময় রাত্রির চোখে জল ঝরছে
ঝড়তান্ডবে ভেঙ্গে গেছে ডাল
বাসাটির পাশে এক আহত বাবুই
শিল্পসন্দিহান ক্ষুদে পাখিটি সঙ্গিটির জন্য
ঋতি প্রার্থনা করে
দোসর চোখের আলোর ভেতর
অকাধিপতির নামে!
আমিও মানবজন্মে সাধ করে কন্ঠিকা পড়েছি গলে বড়ো আঁটসাঁট, শুধু ফাঁস লাগে
নিজেকে মনে হয় ক্ষুধিরাম বসু
তবু; রমনীকেশরের মায়াকুন্ডে পড়ে থাকে মন— পার্বতীর নিকুঞ্জবিহার খুঁজে
ঝরেপড়া সূর্যের মত গোধূলি সন্ধ্যায় বহু ঘাঁটনের নিমিত্তে
মৃত্যুকে সুস্বাদু কামরাঙার মতো—লবন লাগিয়ে খেয়ে ফেলে—
একেবারে নিমজ্জিত হই গহিনগহনে!
আহারে মা—আমার আদরের মাই
তোমার চাকনমুখ ভেসে ওঠে—
আমার দুচোখ ভরে
আমি— ছেঁচরের মত দ্রুত পালাই
তোমার সামনে— কী নিয়ে দাঁড়াই-গো মাই?
কোন মুখে বলি, দ্যাখো মা; তীর্যকচোখে
আমি কেমন জীবন ও মরণের অযোগ্য
একখন্ড ভাসমান মেঘের দলা
যেন একখন্ড প্রকীর্ণদ্রবণ