তুমি

তুমি

বিচিত্র কুমার 

কোটি কোটি শতাব্দীকে তুমি হাতছানি দিয়ে

তুমি রয়েছো যুগযুগ ধরে কোটি মানুষের বুকে,

কবিদের কল্পনাতে কিম্বা শিল্পীর আঁকা ছবিতে

হয়তোবা শতশত প্রেমিকের মুখে মুখে।

তুমি জীবনানন্দদাসের বনলতা সেন

কিম্বা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বরুনা,

হয়তো তুমি ফুটন্ত পুষ্পকলি কিম্বা রজনীগন্ধা

অথনা তুমি উষার আলো কিম্বা গোধূলিসন্ধ্যা।

তুমি গায়কের গানের স্বরলিপি

কিম্বা কবির কবিতার মুক্ত চরণ,

হয়তো তুমি শিল্পীর আঁকা ছবি

কিম্বা প্রেমিকের বুকের রক্তক্ষরণ।

তোমার নিদারুণ সাজ ঠিক নকশীকাঁথার মাঠ

আর তোমার সৌন্দর্য পদ্মার রুপালি ইলিশের মতো,

তুমি হাসলে পড়ে জ্যোৎস্না ছড়ে মনালিসার মতো

আর তোমার প্রতিটি কথা রবীন্দ্রসঙ্গীতের মতো অমৃত। 

তুমি আমার কল্পনাতে তুমি আমার ভাবনায় 

কিম্বা তুমি আমার আঁধার রাতের পূর্নিমার চাঁদ,

কিম্বা তুমি হয়তো আমার কাঙ্ক্ষিত ভালোবাসার

সেই মেহেদী রাঙা দুটি হাত।