ধূম্রজাল

ধূম্রজাল


আব্দুছ ছালাম চৌধুরী 

ধূম্রজাল! 
চারিদিকে কেবলই ধূম্রজাল। 
পরমত সহিষ্ণুতাকে খাটো করে আমরা থেকে আমার সাম্রাজ্য চাই! 
এখানে সেখানে কুশপুত্তলিকা দাহ্যে চাই, আমার সিন্দাবাদ। 

পতিত সবই আমার 
আমিই শঙ্খসুর বাজাই— 
আরও বাজাই, রিনিঝিনি —চিনিচিনি আমি তারে চিনি 
দাম্ভিক এই গাড় মটকে দেবার দম্ভ করবে কে'রে?
বিহঙ্গ মেলে উড়ে যে পঙ্খী—
তার কাব্যের সুললিত কণ্ঠ রুখবে কে"রে?
কে ছুটবে কাল থেকে মহাকাল অবধি? 

বিশ্বায়নে আলো দেয় যে সূর্য রশ্মি, তারেও আপন করতে পারোনি—হে মহীয়ান 
ব্রহ্মাণ্ড ঘুরে আপন মহিমায় স্বয়ংক্রিয় তেজস্ক্রিয়তায় সে যে পরিপূর্ণ।
ওই যে গেরস্থ —
তার ঘর-গেরস্তির সোনালি ফসল ঘরে তুলেতে পারেনি।
ধূসর হাওয়া আর বৃষ্টির শেষে কোথায় গেছে কোন বা দেশে 
বেজায় সংকীর্ণতায় তার দৃষ্টিভঙ্গি ও বদলায়নি। 

কে জানে!
শান্ত মনে ভ্রান্ত কুশীলবেরা ভীড় করে অবেলায় 
কারণে অকারণে স্ফুরণে ধরনীর বালুকণা  উৎক্ষেপনে 
অতঃপর ঠোঁট পুড়া গন্ধ প্রকাশ করে। 
ধূম্রজাল —
দেমাগ বেশী, 
চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এলে,দেখবো হাসি-হাসি।