পাথর চোখে নিভৃত নদী
শহিদ মিয়া বাহার
চারুমনি,
পাথর চোখের সমুদ্র-সায়রকে কাঁদতে দেখেছ কখনো ?
খরার কবলে পড়ে মহাশূণ্যে ঠিকানা খুঁজে
পুড়তে-পুড়তে যে পলি হয়ে যায় !
দাদা বলেছিল একদিন
হতভাগা দেখিস
বিদিশা ঝড়ের সায়াহ্নে কাঁদতে এলে
কেবলই চোখের সায়র শুকিেয় যায়।
চারুমনি,
সেই থেকে আমি আর কাঁদিনাকো।
আমার জলসীমা মুছে দিয়ে
জলধির শুকিয়ে যাওয়া শুকনো পললে
যখন সমাহিত হল শোকাহত স্বপ্নরাজ ধূলোকণার সংসার
কই তখন কাঁদিনি তো
কাঁদিনিতো একবারও !
যখন দূর দক্ষিণের পাহাড়ের সীমানায় বাঁক খেয়ে দুমড়ে গ্যাছে স্বপ্ন-কেয়া আকাশ..
বসন্তের বারান্দা ঘেঁষে থেমে গেছে আনন্দ- কোলাহল
থামেনিকো তখনো ঢলে পড়া জীবনের পূব-ঢালী কান্নার আওয়াজ ;
সম্মুখের উঠোনে তখনো বাজে চন্দ্রসাঁঝের এস্রাজ কান্নার গীত
কই তখনো আমি কাঁদিনিতো...
কাঁদিনিকো একবারও !
আমার কান্নাগুলো কেবলই
প্রাপ্তিহীন ভালবাসার
অক্ষর-বৃত্ত কোঠরে
কয়েদির মত পাথর হয়ে বাঁধা!
চারুমনি--
পাথর চোখে থাকে নিভৃত নদী
পাথরতো কখনো কাঁদেনাকো---!