জয়িতা চট্রোপাধ্যায় এর গুচ্ছ কবিতা

জয়িতা  চট্রোপাধ্যায় এর গুচ্ছ কবিতা
জয়িতা চট্টোপাধ্যায়
১,. স্মৃতিতে বিঁধিয়ে রাখা তোমার নখ
আমার শরীরে আজ আর কোনো আঁচড় নেই
আঁচড় ভর্তি দেহ
নুন ছিটিয়ে রেখেছি শরীরে
তোমার অপার স্নেহ
জ্বলে যাচ্ছে পুড়ে যাচ্ছে 
দাউ দাউ করে স্মৃতি
জ্বলে যায় পুড়ে যায় ব্যথা
ধিকিধিকি আগুণে পোড়ে ভয়ের অনুমিতি
আমার সঞ্চয় শুধু তোমার হাসি তোমার চোখ
স্মৃতিতে বিঁধিয়ে রাখা তোমার নখ।। 
বাক্য গঠন আজও তবু শেষ হয়নি:
জয়িতা চট্টোপাধ্যায়
ধরো যদি কোনো অচল কমা তোমার আমার মধ্যিখানে, বা কোনো আচমকা দাঁড়ি হঠাৎ  করে টেনে দিলে, হয়তো সেই বাক্য গঠন আজ ও তবু শেষ হয়নি, খাতার ভেতর এলিয়ে আছে ঘুমিয়ে আছে, তোমার কাছে স্হান পায়নি, সেসব লাইন দাঁড়িয়ে থাকে ক্রিয়াপদে,দাঁড়িয়ে থাকে তোমার জন্য তোমার হয়ে।। 
পাল্লা ঝুঁকে আসে অন্ধকারে:
জয়িতা চট্টোপাধ্যায়
রাত জুড়ে তোমার আনাগোনা
রাতের ওজন বাড়ে
পাল্লা ঝুঁকে আসে অন্ধকারে
আমি ছুটে যাচ্ছি রাত্রি ভার নিয়ে স্মৃতির দিকে
আমার নিয়তি গভীর অতল বাস্তুহীন
আমি নিয়মিত রাত্রি কে পান করি গেলাসে ভর্তি করে
উগরে দিই জীবনে প্রতিদিন
উগরে দিই তোমার নৌকায় ভর করে।। 
মা:
জয়িতা চট্টোপাধ্যায়
ঘুম সকালে খিদের মতন তুমি
তোমার ভাঙাচোরা সব শব্দগুলো
সারা রাত ঘুমায় না
আমার কাছে আজও তুমি রূপসী যুবতী মেয়ে
শব্দ তোমার ব্রক্ষ্ম
স্পষ্ট তোমায় দেখতে পাচ্ছি চেয়ে
আমার শৈশবের মানচিত্রে
সাজিয়ে তোলো ফুল
দুচোখ বন্ধ করে তোমায় দেখি
মা, তোমার পেটের ভেতর জন্ম নিচ্ছি
আমি নামের অজস্র অঙ্কুর।। 
ঠিকানা:২২/৪ আর এন টিপি বাই লেন শ্যামনগর
উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা
তরুণ সংঘ ভলিবল খেলার মাঠ
পিন কোড:৭৪৩১২৭
ওয়েস্ট বেঙ্গল
ভারত
আমার শরীরে আজ আর কোনো আঁচড় নেই
আঁচড় ভর্তি দেহ
নুন ছিটিয়ে রেখেছি শরীরে
তোমার অপার স্নেহ
জ্বলে যাচ্ছে পুড়ে যাচ্ছে 
দাউ দাউ করে স্মৃতি
জ্বলে যায় পুড়ে যায় ব্যথা
ধিকিধিকি আগুণে পোড়ে ভয়ের অনুমিতি
আমার সঞ্চয় শুধু তোমার হাসি তোমার চোখ
স্মৃতিতে বিঁধিয়ে রাখা তোমার নখ।। 
২. বাক্য গঠন আজও তবু শেষ হয়নি:
ধরো যদি কোনো অচল কমা তোমার আমার মধ্যিখানে, বা কোনো আচমকা দাঁড়ি হঠাৎ  করে টেনে দিলে, হয়তো সেই বাক্য গঠন আজ ও তবু শেষ হয়নি, খাতার ভেতর এলিয়ে আছে ঘুমিয়ে আছে, তোমার কাছে স্হান পায়নি, সেসব লাইন দাঁড়িয়ে থাকে ক্রিয়াপদে,দাঁড়িয়ে থাকে তোমার জন্য তোমার হয়ে।। 
৩. পাল্লা ঝুঁকে আসে অন্ধকারে:
রাত জুড়ে তোমার আনাগোনা
রাতের ওজন বাড়ে
পাল্লা ঝুঁকে আসে অন্ধকারে
আমি ছুটে যাচ্ছি রাত্রি ভার নিয়ে স্মৃতির দিকে
আমার নিয়তি গভীর অতল বাস্তুহীন
আমি নিয়মিত রাত্রি কে পান করি গেলাসে ভর্তি করে
উগরে দিই জীবনে প্রতিদিন
উগরে দিই তোমার নৌকায় ভর করে।। 
৪. মা:
ঘুম সকালে খিদের মতন তুমি
তোমার ভাঙাচোরা সব শব্দগুলো
সারা রাত ঘুমায় না
আমার কাছে আজও তুমি রূপসী যুবতী মেয়ে
শব্দ তোমার ব্রক্ষ্ম
স্পষ্ট তোমায় দেখতে পাচ্ছি চেয়ে
আমার শৈশবের মানচিত্রে
সাজিয়ে তোলো ফুল
দুচোখ বন্ধ করে তোমায় দেখি
মা, তোমার পেটের ভেতর জন্ম নিচ্ছি
আমি নামের অজস্র অঙ্কুর।