হিজাব নাকি মুসলিম বিদ্বেষ পোষণ

হিজাব নাকি মুসলিম বিদ্বেষ পোষণ

--আব্দুছ ছালাম চৌধুরী 

মুসলিম বিদ্বেষ আর হিজাব পরিধান এক নয়। হিজাবের রীতিনীতি তার বিশ্বাসে নিহিত --আর বিদ্বেষ আগুনের লেলিহান। যতই ঘি ঢালবে ততোই অন্যের সাথে নিজেও পুড়ার সম্ভাবনা লেগেই থাকবে।

"হিজাব" নারীর জন্য পবিত্রতার প্রতীক, এ কথাটি অসম্পূর্ণ, প্রকৃত অর্থে শরীর আবৃত রাখার নাম হিজাব। যে কোনো কাপড় পরিধানে তা সম্ভব। 

হিজাব পরিধানে পরিচয় লুকানো কখনো সমীচীন নয়, যেমন মুখমণ্ডল। এটি নারীর জন্য মহান আল্লাহর বিধান। তিনি নারী পুরুষ উভয়ের জন্য মার্জিত কাপড় পরতে বিধিনিষেধ রেখেছেন। 

হিজাব তথা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না করা অনেক দেশের সংবিধানে লিপিবদ্ধ থাকা সত্ত্বেও, কিছু কিছু রাষ্ট্র নায়ক সংবিধানকে পাশ কাটিয়ে নিজের ইচ্ছেমাফিক সমান নীতিমালা বলে পূর্বের লিখিত সংবিধান থেকে সরে নিজেই নীতিচ্যতু হয়। 

পশ্চিমা দেশে ছেলেদের স্কুলের পোশাক আর মেয়েদের পোশাকের তফাৎ অনেক;

ছেলেরা শার্ট পেন্ট টাই পরতে বাধ্য। আর মেয়েরা শার্ট টাই কিন্তু স্কার্ট,,,,,তাও ছোট স্কার্ট। স্কার্ট কতটুকু বিব্রতকর তা ও কন্যা সন্তানের কাছে প্রশ্ন করলেই পেয়ে যাবেন।

যে কোনো ধর্ম টিকে থাকা তার বিশ্বাসীদের কার্যক্রমে। বিশ্বাসে বিচ্যুতি হলে বিভাজন হয়। এবং একদিন সেই সকল বিভাজন আরও ছোট হয়,একদিন সেই সব মতবাদ হারিয়ে যায়। 

——আর যারা হিজাবের আড়ালে মুসলিম বিদ্বেষ পোষণ করেন, তারা তাদের সন্তানাদির প্রতি শরীর আবৃত রাখার প্রকৃত জ্ঞান দিতে এক্ষুনি উদ্ভুত করে যান । মুসলমান অর্থ কি, তার বীজ বপন করে যান। প্রতিটি সন্তানের ভেতরে একধরনের স্বাধীন চেতনা কাজ করে, কোনটা সঠিক কোনটা বেটিক তা তাদের ভাবনায় চলে আসে।

প্রকৃত হিজাব পরিধানে সম্মান আনে। এতে বিদ্বেষ পোষণ করলে ধর্ম প্রচারে দৃঢ়তা আনে মজবুত করে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি শক্তি বটবৃক্ষে রূপান্তরিত হয়। 

আগুন ধ্বংসের প্রতীক। ছাই ব্যতীত কিছুই নয়। 

ছবি সংগ্রহ