ভুলে মুক্তি পাওয়া অভিবাসী অপরাধীর ঘটনায় ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে সব কারাগারে অতিরিক্ত তদারকি শুরু

ভুলে মুক্তি পাওয়া অভিবাসী অপরাধীর ঘটনায় ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে সব কারাগারে অতিরিক্ত তদারকি শুরু

গত সপ্তাহে এক অভিবাসী যৌন অপরাধীকে ভুলবশত মুক্তি দেওয়ার পর, সোমবার থেকে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের সব কারাগারে নতুন নিরাপত্তা যাচাই ও তদারকি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

ভুলভাবে মুক্তি পাওয়া হাদুশ কেবাতু, যিনি এসেক্সের এপিং এলাকায় ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী ও এক নারীকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন, শুক্রবার HMP চেল্মসফোর্ড কারাগার থেকে মুক্তি পান। এতে শুরু হয় ৪৮ ঘণ্টার মানব শিকার অভিযান, যা শেষ হয় রবিবার লন্ডনের ফিনসবারি পার্কে তার গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে।

সরকার জানিয়েছে, কেবাতুকে অচিরেই বহিষ্কার (deport) করা হবে।

ন্যায়বিচার সচিব ডেভিড ল্যামি সোমবার সংসদে এ বিষয়ে স্বাধীন তদন্তের অগ্রগতি জানাবেন। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে এমন ভুল এড়াতে নতুন চেকলিস্ট পদ্ধতি চালু হচ্ছে।

তবে কারাগারের সিনিয়র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন যাচাই প্রক্রিয়া তাদের কাজের চাপ ও সময়ের অভাব আরও বাড়াবে।

সরকারের তথ্যানুযায়ী, এপ্রিল ২০২৪ থেকে মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত ২৬২ জন বন্দি ভুলবশত মুক্তি পেয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।

কারাগার পরিদর্শক চার্লি টেইলর বলেছেন, এসব ঘটনা দেখায় যে কারাগার ব্যবস্থায় “ভয়াবহ ত্রুটি” চলছে।

প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মারের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, এমন ভুল কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়, এবং এর জন্য পূর্ববর্তী কনজারভেটিভ সরকারের বিচার বিভাগে দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা ও বিনিয়োগ ঘাটতি দায়ী।

হাউজিং সেক্রেটারি স্টিভ রিড ঘটনাটিকে “বিপর্যয়কর” বলেছেন এবং বলেন, কাজের চাপ থাকলেও কর্মীদের অতিরিক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে।

অন্যদিকে সাবেক কনজারভেটিভ মন্ত্রী অ্যালেক্স চক বলেছেন, এই ঘটনা প্রমাণ করে যে ব্রিটেনের কারাগার ব্যবস্থা গভীর সংকটে রয়েছে এবং পর্যাপ্ত কর্মী ও সম্পদ না থাকায় ভুলের পরিমাণ বাড়ছে।

লিবারেল ডেমোক্র্যাট এমপি মেরি গোল্ডম্যান ও রিফর্ম ইউকে নেতা নাইজেল ফারাজ উভয়েই এ ঘটনায় জাতীয় পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।