চাঁদ
আলমগীর হোসাইন
জোছনা ছড়ানো চাঁদের আলো
দেখেছি মায়ের কোলে বসে
দাদী জেঠী গল্পের ছলে কতো
রূপ কথার উপমা শোনাতো।
চাঁদ কে নিয়ে কৌতুহল
শৈশব থেকে রয়েই গেলো
কৈশোর যৌবন পেরিয়ে
বুঝার মতো ভাবনা জাগলো।
প্রখর যৌবনের সিডি বেয়ে
ভালোবাসার আঁচল জুড়ে
চাঁদ মুখো প্রেয়সীর পরস
পেয়েছি চাঁদনী পসর রাতে।
তোমার জোছনার আলোয়
প্রকৃতি ও মানুষ পূর্ণতা পায়
পূর্ণিমার ভরা জোছনা ছড়ায়ে
কতো উপমায় ভূষিত হলে।
শীত বসন্তের আগমনী বার্তা
আবেশ মাখানো পরশ বুলাই
চাঁদের আলোয় আলোকিত রয়
মোর প্রেয়সীর প্রেমের ভূবণ।
বাঁশ বাগানের মাথার উপর
চাঁদ উঠে না এখন আর
মাগো আমার শ্লোক বলা
কাজলা দিদি পরলোকে।
চাঁদের বুড়ী সুতা কাটে না
বটবৃক্ষের ছায়ায় বসে
দাদী মাও চলে গেছেন
ভরা জোছনায় প্লাবিত হয়ে।
প্রেয়সী মোর কোলে শুয়ে
শুনছে সব চাঁদের আলোয়
চোখের জলে বুক ভাসালে
আয় চাঁদ মামা মমতার টানে।
চাঁদের মেলার এই বসু ধায়
মন দেয়া নেয়ার সুখ বিলাসে
ধবল ছায়া ভরা পূর্ণিমা তিথি
যৌবন জৌলুশ উপচে পড়ে।
অনন্ত কাল ধরে দিয়ে এসেছ
নির্ঝর জোছনার মায়াবী আলো
সে আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে উঠে
পূর্ণিমায় ছয়লাব প্রেমীর জীবন।
চাঁদের আলোয় আলোকিত হয়ে
কতো প্রেয়সীর মন পূর্ণতা পেলো
চন্দ্র তারার মিলন মেলা দেখে
ভালোবাসা জাগায় মানব প্রেমে।