পথিকের গল্প

পথিকের গল্প

পথিক রানা

আজকাল আমার বেহিসাবি জীবনের বিষণ্ন সন্ধ্যার সমস্ত গল্পগুলো চরিত্রহীন

প্রকৃতির রাক্ষসী সময় অনুমতি ছাড়াই গিলে ফেলছে অবসন্ন শরীর ও যৌবন;

এতযে অন্ধকার নিয়ে বসে আছি তবু কেউ জ্বালেনি সন্ধ্যা প্রদীপ ভালোবেসে!

বেকারত্ব আমার গলা চেপে ধরে রেখেছে বহুকালের সেই স্বৈরাচারী নিয়মে

মুক্তির বিশ্বাসে শ্বাস নিয়ে বেঁচে আছি কেবলমাত্র স্বপ্নীল জীবনের মায়ায়;

অথচ ছিবড়ে খাওয়া বাস্তবতার আঘাতে আঘাতে আমিও অসাড় একজন।

একটি নির্দয় চোখে খুন হওয়ার আনন্দ আমার গোপন সত্য চাওয়া ছিল

পুনরুজ্জীবিত হয়ে ভালোবাসবো এমন প্রেমের গল্প ছিল লাজুক মনে

হায়! নির্বোধ এ হৃদয় বোঝেনি নারী ও কবিতার সুনির্দিষ্ট কোন মানে!

স্বপ্নেরা আজ দুঃস্বপ্নের সর্পিল রুপে পেঁচিয়ে রাখে আমার সমস্ত বর্তমান

সমালোচনার বিষাক্ত ছোবলে তৃপ্তির হাসি হাসে সমাজে আপন জানা কেউ

তখন অভিমানের তীব্র যন্ত্রনায় জ্বলে পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যায় সস্তা সিগারেট।

তবুও আত্মগ্লানিতে পুড়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের গায়ে আমি অক্লান্ত জল ঢালি

হায়! একটিও নিশ্চয়তার চারা গজায়নি আটত্রিশ বছরের নিষ্ফল পরিশ্রমে,

না বলা এমন অনেক অভিমান বুকে নিয়ে অযথাই একদিন পথে নেমে ছিলাম,

এখন আর ফিরতে পারছিনা।