ভাবনা নিয়ে ভাবনা
মোঃ হাবিবুর রহমান
অনেক সময় গভীরভাবে ভাবতে গেলেও ভাবনা মনে আসে না। মনকে তাই বুঝ দেবার অভিপ্রায়ে ভাবনা করার ভান করি। অবশ্য সবাইকেই কিন্তু এধরনের ভাবনা করার সব সময় দরকার হয় না।
যারা ভাবুক প্রকৃতির তাদের কথা হয়তবা ভিন্ন কিন্তু একজন সাধারণ প্রকৃতির মানুষ গভীরভাবে চিন্তা করা কিংবা ভাবনা করার মানসে প্রথমেই তার একটা সম্পূর্ণ আলাদা পরিবেশের কথা ভাবতে হয় বা চিন্তা ক'রতে হয়।
অতঃপর, আলাদা নিরিবিলি একটা পরিবেশ অনুসন্ধান করার পর সে বেশ গভীর মনোযোগের সাথে ভাবা শুরু ক'রলেও কিন্তু সে সম্পূর্ণভাবে একাগ্রতা সৃষ্টি ক'রতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়।
তখন সব কিছু যেন তার কাছে শূন্য শূন্য মনে হয়। মনে হয় মাথার ভিতরে যত চিন্তাভাবনা আগে মজুদ ছিল সেগুলোও বুঝি ত্বরিৎ হাওয়া হ'য়ে উড়ে গেছে বা নিমিষেই যেন মস্তিষ্ক থেকে ডিলিট হ'য়ে গেছে কিংবা একেবারেই মুছে গেছে।
এযেন অনেকটা এমন যে, অতিরিক্ত পরিশ্রমের পর যেমন মানুষের বার বার ঘুমের হাই উঠলেও ঘুম আসতে চায় না ঠিক যেন তেমনটি।
বাস্তবে, ঘুমটা সীমান্ত অতিক্রম ক'রে ওপারে পাড়ি জমানোর ফলে নেট ওয়ার্কের বাইরে চ'লে যাবার কারণেই বোধ করি তা যেন হ'য়ে গেছে অনেকটা সুদূর-পরাহত।
তাই ভাবতে ভাবতে কিংবা নিয়মিত ভাবা অনুশীলনের মাধ্যমেই হয়তবা একদিন একজন ভাবুক প্রকৃতির মানুষে পরিণত হওয়া সম্ভব কিংবা একজন ভাবুক প্রকৃতির মানুষের চরিত্র করায়াত্ত্ব করা সম্ভব।
আর এধরনের ভাবুক হ'তে পারলেই প্রকৃতির অনেক অজানা আর অব্যক্ত বিষয়গুলি বুঝি অতি সহজেই জনসমুখে এনে তারপর সমাজের বিজ্ঞ লোকদের দ্বারা ভিতরের অন্তর্নিহিত ভাবটি আবিষ্কার করা সম্ভবপর হবে ব'লে মনে করি।
তাই তো বোধ করি মনোবিজ্ঞানীদের আজকাল ভাবনা নিয়ে ভাবনার আর অন্ত নেই।