যুক্তরাজ্যের বিতর্কিত ডিজিটাল আইডি প্রকল্পে নতুন ঘোষণা

যুক্তরাজ্যের বিতর্কিত ডিজিটাল আইডি প্রকল্পে নতুন ঘোষণা

ডিজিটাল আইডি নাগরিকদের জীবন সহজ করবে বলে দাবি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর, তবে গোপনীয়তা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ

ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, তাদের পরিকল্পিত ডিজিটাল আইডি স্কিম ২০২৮ সালের মধ্যে চালু হবে, তবে এটি পূর্ববর্তীভাবে কার্যকর হবে না এবং শুধুমাত্র নতুন চাকরির আবেদনকারীদের জন্য বাধ্যতামূলক হবে।

প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টার্মার বলেন, ডিজিটাল আইডি চালু হলে মানুষকে “ছায়া অর্থনীতিতে” প্রবেশ থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে। তবে তিনি আশ্বস্ত করেছেন, এটি বাধ্যতামূলক নয় এবং নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা বা অন্যান্য মৌলিক সুবিধা গ্রহণে কোনো প্রভাব ফেলবে না।

স্টার্মারের ভাষায়, “হাসপাতালে যেতে আইডি লাগবে না। যারা এটি নিতে চান না, তাদের জন্য এটি সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক।”

সরকার দাবি করছে, এই ব্যবস্থা নাগরিকদের জীবন সহজ করবে—বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, বাড়ি কেনা বা ভাড়া নেওয়ার মতো কাজে একাধিক পরিচয়পত্র দেখানোর ঝামেলা কমাবে এবং ব্যাংক জালিয়াতি প্রতিরোধেও সহায়ক হবে।

তবে নাগরিক অধিকার সংগঠন বিগ ব্রাদার ওয়াচ বলছে, ডিজিটাল আইডি ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও গোপনীয়তার জন্য হুমকি হতে পারে। সরকার জানিয়েছে, ব্যক্তিগত তথ্য নাগরিকের নিজস্ব ডিভাইসে সংরক্ষিত থাকবে এবং তা শক্তিশালী এনক্রিপশন প্রযুক্তির মাধ্যমে সুরক্ষিত করা হবে।

ডিজিটাল আইডি ইতোমধ্যে ভারত, সিঙ্গাপুর ও ডেনমার্কসহ একাধিক দেশে চালু রয়েছে। যুক্তরাজ্যে এটি ক্যাবিনেট অফিসের তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত হবে এবং ২০২৫ সালের শেষ দিকে এ বিষয়ে জনমত যাচাই (public consultation) অনুষ্ঠিত হবে।