সঙ্গীতশিল্পে ইউটিউবের রেকর্ড অবদান: এক বছরে ৮ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ
ইউটিউব ঘোষণা করেছে, জুলাই ২০২৪ থেকে জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত এক বছরে তারা বৈশ্বিক সঙ্গীত শিল্পে ৮ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে। এটি প্ল্যাটফর্মটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবদান।
বিশ্বের জনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব গত ১২ মাসে (জুলাই ২০২৪ থেকে জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত) বৈশ্বিক সঙ্গীত শিল্পে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধ করেছে বলে বৃহস্পতিবার এক ঘোষণায় জানিয়েছে।
ইউটিউবের গ্লোবাল হেড অব মিউজিক লিওর কোহেন এক বিবৃতিতে বলেন, “আজকের এই ৮ বিলিয়ন ডলারের অর্থপ্রদান প্রমাণ করে যে বিজ্ঞাপন ও সাবস্ক্রিপশনের যুগল ইঞ্জিন পূর্ণ শক্তিতে কাজ করছে। এটি কোনো সমাপ্তি নয়, বরং সারা বিশ্বের শিল্পী, গীতিকার ও প্রকাশকদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি প্ল্যাটফর্ম গঠনের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।”
কোহেন প্রথমবার এই মাইলফলক ঘোষণা করেন বুধবার, বিলবোর্ড ল্যাটিন মিউজিক উইক–এ বক্তব্য দেওয়ার সময়।
এই অর্জন ইউটিউবের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড। কোম্পানিটি ২০২২ সালে সঙ্গীত শিল্পে ৬ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২১ সালে ৪ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের ঘোষণা দিয়েছিল। মাত্র তিন বছরে তাদের বার্ষিক অবদান দুই গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যদিকে, প্রতিদ্বন্দ্বী স্ট্রিমিং সেবা স্পটিফাই এ বছর জানিয়েছে, তারা ২০২৪ সালে সঙ্গীত শিল্পে ১০ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে, যা ২০২৩ সালের ৯ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে বেশি। তবে এই অর্থের সবটাই শিল্পীদের হাতে যায় না — লেবেল, প্রকাশক ও গীতিকাররাও এর অংশীদার।
ইউটিউব জানিয়েছে, তাদের বিজ্ঞাপন ও সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক আয় মডেল দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তাদের ১২৫ মিলিয়নের বেশি মিউজিক ও প্রিমিয়াম সাবস্ক্রাইবার রয়েছে (ট্রায়াল ব্যবহারকারীসহ) এবং প্রতি মাসে দুই বিলিয়ন লগ-ইন করা দর্শক সঙ্গীত ভিডিও দেখেন।
কোম্পানিটি এক ব্লগ পোস্টে জানায়, “ইউটিউবের বৈশ্বিক উপস্থিতি যত বাড়ছে, ততই শিল্পী ও গীতিকারদের জন্য স্থায়ী ক্যারিয়ার গড়ে তোলার সুযোগ বাড়ছে।”
এর আগে গত মাসে Made on YouTube অনুষ্ঠানে ইউটিউব জানায়, গত চার বছরে তারা মোট ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থপ্রদান করেছে নির্মাতা, শিল্পী ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোকে।


